প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। নাগরিকের এ অধিকার বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বপ্নদ্রষ্টা কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, স্বীয় অর্থ ও ভূমি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা একটি আদর্শ মাদ্রাসা "তরফসাদুল্লা দাখিল মাদ্রাসা "। এ মাদ্রাসার উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে যুগোপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি এবং সক্রিয় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। কালের পরিক্রমায় এ প্রতিষ্ঠানটি তিন যুগ পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করে চলেছে এবং সর্ব শ্রেণির মানুষের আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকায় সুনাম কুড়িয়ে চলেছে। প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার ‘তরফসাদুল্লা দাখিল মাদ্রাসা’। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে আসছে। যার ফলশ্রতিতে প্রতিষ্ঠানটি এই সত্য প্রমাণে সক্ষম হয়েছে “আমরা শ্রেষ্ঠ নই, কিন্তু ব্যতিক্রম”।

সভাপতির বাণী

image-not-found

সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত আনন্দের সাথে সকলকে স্বাগত জানাই তরফসাদুল্লা দাখিল মাদরাসার ওয়েব সাইটে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের জীবন ব্যাবস্থা আমূল বদলে দেয়ার পাশাপাশি বদলে দিয়েছে আমাদের প্রচলিত অনেক ধারনাকেও। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করেছে ইন্টারনেট। পৃথিবী আজ এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে প্রতিটি সচেতন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্যে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য্য। পৃথিবীব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল মুখপাত্র অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্ব কতটা তা আসলে ভাষায় প্রকাশ করাটা কঠিন । যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট ডিজাইন করা নেই সেসব প্রতিষ্ঠানকে আজ আর স্মার্ট বলা হচ্ছে না কারণ সেসব প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল হালনাগাদ তথ্য খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পেয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যে। নোটিশ, রেজাল্ট, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উপস্থিতি, এর সবকিছুই সবাই জানতে পারবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। শ’ শ’, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার বিকল্প নেই। এ প্রয়াসেই তরফসাদুল্লা দাখিল মাদরাসার নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ ‘ওয়েবসাইটে’ যে বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবেই আধুনিক ও গতিশীল শিক্ষাকার্যক্রমের জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এই ওয়েবসাইটটি আমরা আরো উন্নত করতে চেষ্টা করছি এবং এটি অবশ্যই, চলমান থাকবে। আমি তরফসাদুল্লা দাখিল মাদরাসার সার্বিক উন্নতি কামনা করি এবং সারা দেশ তথা বিশ্বে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক এ কামনা করি। ধন্যবাদ।

সুপারিনটেনডেণ্টের বাণী

image-not-found

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কাজেই সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। প্রকৃতির সন্তান মানব শিশুকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপুর্ণ হতে হয় স্বীয় সাধনায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষায় হলো আমাদের মূলমন্ত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। আর এ লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। আমি বিনয়ের সাথে দাবী করি, তরফসাদুল্লা দাখিল মাদরাসাটি এসব কিছুর সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মজ্জাগত প্রতিভা সহজে বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আনুষ্ঠানিক, খেলাধুলাসহ নানাবিধ শিক্ষা।